বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল এ আশ্বাস দেন।ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং পরিবেশসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচন হয়।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের এগিয়ে চলায় আমেরিকা পাশে থাকবে এবং সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। এর আগে পররাষ্ট্র ও অর্থ উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বাংলাদেশকে ২০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার চুক্তি হয়। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আমেরিকার সহায়তা চেয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগের সহকারী সেক্রেটারির নেতৃত্বে বাংলাধে সফররত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি রোববার ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটান। শনিবার ঢাকায় আসা ৬ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটি রোববার সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়নে সহযোগিতা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে।
এর আগে দিনের শুরুতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাথে বৈঠক করেন সফররত আমেরিকার প্রতিনিধি দল। এসময় বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার আশ্বাস দেন সফরকারীরা।
পরে অর্থ উপদেষ্টা ডক্টর সালেহউদ্দিন আহমেদের সাথে বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকার ও ইউএস এ.আই.ডিন মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। এর আওতায় সুশাসন, সামাজিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার ২০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমেরিকার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।